মেহেরপুরের গাংনীতে নদীরক্ষার বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারনে নদীর পাড় ও রাস্তা ভেঙ্গে গেছে বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা। রাস্তা ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে এখনই ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এলজিইডির প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান।
বেশ কয়েক বছর আগে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা গ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যায়ে নদীর পাড় রক্ষা বাধসহ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাঁধ ও সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অথই এন্টারপ্রাইজ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে এ প্রকল্পে ইউ ড্রেন না করেই চলে যায় অথই এন্টারপ্রাইজ। চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে নদীর পাড় রক্ষাবাধসহ ভেঙে গেছে নবনির্মিত এই সড়কের সিংহভাগ অংশ।
স্থানীয়দের দাবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডির নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ করাই এক বছর না যেতেই ভেঙ্গে গেছে এ সড়ক। হুমকির মুখে রয়েছে সড়কের পাশে থাকা বসতবাড়ি। সিন্দুরকৌটা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেনতেনভঅবে কাজ করেছে। এটির সঠিকভাবে তদারকি করেনি এলজিইডি। ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই কথা জানালেন ওয়াদুদ ও মাইনুল।
গাংনী এলজিইডি প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান জানান, ভাঙ্গনের স্থানটি তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন এই এলজিইডির কর্মকর্তা।