বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত জি টু জি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৬১হাজার মেট্রিক টন গম। আজ এসব গম নিয়ে ‘এমভি এসপার এ্যারিস’ নামক জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।
এর আগে প্রথম জাহাজে আসে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন মেট্রিক টন গম। চুক্তির আওতায় ২ লাখ ৪০ হাজার মে. টন গমের মধ্যে বাকি গম আসবে আরো দুটি জাহাজে।
সরকারি চুক্তি মোতাবেক ৬০,৮০২ মে. টন গম নিয়ে আজ ভোর ৪ টায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে ‘এমভি এসপার এ্যারিস’ জাহাজ। জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করবে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র।মান খারাপ না হলে দ্রুত খালাসের অনুমতি দেওয়ার কথা বললেন, উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র এর উপ পরিচালক ড. মুহাম্মদ শাহ আলম।
জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি সেভেন সীজ লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী মো. আলী আকবর জানান, দরকারি আনুষ্ঠানিকতা সেরে কাল মঙ্গলবার থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজের গম খালাস কার্যক্রম শুরু হবে।
এ পর্যন্ত দুই জাহাজে গম এসেছে এক লাখ ১৭ হাজার ৭৬১ টন। বাকি দুই জাহাজে আসবে চুক্তির বাকি ১ লাখ ২২ হাজার ২৩৯ টন গম।
এদিকে বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুল্ক থেকে বাঁচতে মার্কিন আমদানির পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ও কমানো এবং সে থেকে আমদানির বাড়ানোর পথে হাঁটে অন্তর্বর্তী সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্কের চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টার মধ্যে জুলাই মাসে দেশটি থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য দিয়ে তখন খাদ্য মন্ত্রণালয় বলেছিলো, দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ সমঝোতা হয়েছে।