সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি বায়েজিদ আকন্দকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নড়াচড়া দেখা যায়।
রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে.এম. মাসুদ রানার নিকট মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তিনি বক্তব্যের বিষয়টি শুনে কোন জবাব না দিয়ে ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও আর রিসিভ হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটির তদন্তে নতুন করে গতি এসেছে। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই চলছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে তারা মামলার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
ভুক্তভোগীর চাচা ইমরান হোসেন বাবলু বলেন, “আমরা অবশেষে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। প্রশাসন যদি আগে এমন ব্যবস্থা নিত, তাহলে হয়তো এত দেরি হতো না। এখন আমরা আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চাই।”
এদিকে, স্থানীয় সচেতন মহল ও নারী অধিকার সংগঠনগুলো ধর্ষণ মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, “এই ঘটনায় যেভাবে সমাজের প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তা একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। প্রশাসনকে ভবিষ্যতে এমন অবহেলা না করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।”
রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান বলেন, থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। আইনের বাইরে কেউ নয়। আমরা নিশ্চিত করছি, তদন্তের ভিত্তিতে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।