এনসিপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বিশ্বাস করি। যারা সেই আন্দোলনে আহত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাদের ত্যাগের প্রতিদানই হবে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। পরে তারা শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গাজী সালাউদ্দিন ভাই আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তিনি আন্দোলনের সময় আহত হন, তার গলায় একটি স্প্লিন্টার ছিল, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তিনি এতগুলো দিন বেঁচে ছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর তিনি মারা যান। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে আমরা জানতে পারি, তিনি বিএনপির কিছু কর্মীর দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এ রকম জুলাই যোদ্ধারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছেন— যারা আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, দেহে এখনো স্প্লিন্টার বহন করছেন। তারা আজও চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে। এই পরিবারগুলোর আত্মত্যাগের কারণেই তো আমরা গণঅভ্যুত্থানে সফল হয়েছিলাম। আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করতে পেরেছিলাম এবং বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এ রকম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হাজারো যোদ্ধা এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অনেকেই আজও সুচিকিৎসার অভাবে ভুগছেন। এই আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছিল। কিন্তু তারা তা সম্পূর্ণভাবে পালন করতে পারেনি। ফলে আমাদের লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, শহীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই— যারা এখনো আহত অবস্থায় আছেন, যাদের শরীরে স্প্লিন্টার রয়েছে, যার অঙ্গহানি হয়েছেন— তাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। একবার চিকিৎসা দেওয়াই যথেষ্ট নয়, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে, না হলে গাজী সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আরও অনেকে মৃত্যুবরণ করবেন।