বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আমরা একে অপরের সঙ্গে এক দেশেই বাস করছি, এক ভূখণ্ডে আছি। এখানে ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত ভেদাভেদ নেই। সবাই আমরা বাংলাদেশি। কেউ মুসলমান, কেউ হিন্দু, কেউ বৌদ্ধ, কেউ খ্রিষ্টান, আবার মারমা, চাকমা সবাই আছি। এটি একটি রংধনু, যার সাতটি রঙ রয়েছে।
বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নের শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সম্প্রদায়িক ও সম্প্রতি বজায় রেখে কাজ করছে। সকল ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়েছের, দেখাচ্ছেন। নতুন একটা বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমান নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতন, হামলা ও বাড়িঘর-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান দখলের শিকার হতে হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাধ যায়নি কেউ। গনশত্রু, জনশত্রু, মুসলমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল মানুষের শত্রুতে পরিনত হওয়ায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ও তার দোসররা। এইদেশ থেকে আমার-আপনার ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার করছেন। লুটপাট করে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দেশে থাকতে পারেনি? কারন এতো বেশি অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতন.ঘুম-খুন করার কারনে এই দেশের মানুষ ফাসিষ্টদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছেন।
রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রমের সভাপতি নান্টু কর্মকারের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বিএনপির পদ বা নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন অন্যায় অপরাধ করলে তার স্থান বিএনপিতে হবেনা।ওইসব লোকদের বিএনপি করার দরকার নেই। আগামি নির্বাচনে ধানের শীষের পতাকাকে আমরা উড্ডীয়মান রাখবো তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এখন থেকেই তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাই সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিমুল সাহাসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।