বাংলাদেশে এই প্রথম টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও অটোভ্যান চালকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ভূঞাপুর পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাজিব হোসেন। প্রথম দিনে দুইশ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরো সাড়ে ৫'শ জন চালককে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ টাঙ্গাইলের মোটরযান পরিদর্শক এনামুল হক ইমন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সভাপতি শাহ আলম প্রামাণিক, আসাদুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সৈয়দ সরোয়ার সাদী রাজু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন খান, সাংবাদিক মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূঞাপুর পৌর প্রশাসক মোঃ রাজিব হোসেন বলেন, ভূঞাপুরের মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের চলাচলের জন্য কোন লোকাল বাস নেই। এই এলাকার মানুষকে সাধারণত অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও অটোভ্যানে যাতায়াত করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এসব যানবাহন যেহেতু রাখতেই হবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, কেন তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেবো না? আর এই সিদ্ধান্তের ফলেই তাদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
তিনি আরও বলেন, ভূঞাপুরে অটোরিকশা ও ভ্যান চালকদের ধাপে ধাপে মোট সাড়ে ৭'শ চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে বিনামূল্যে ড্রাইভিং কার্ড দেয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং কার্ড ব্যতীত আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ভূঞাপুর পৌর শহরে অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও অটোভ্যান চালানো যাবে না। ড্রাইভিং কার্ড ব্যতীত কোন অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও অটোভ্যান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।