মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে আজ শনিবার আন্তর্জাতিক রেডিওলজি ও বিশ্ব রেডিওগ্রাফি দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯ টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয় এবং পরে হাসপাতাল ভবনে এক আলোচনা সভা অনু্ষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহন করেন হাসপাতালের ত্বাবধায়ক ডা. প্রণয় কান্তি দাস, সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, রেডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. উবায়দুল ইসলাম বাপ্পী সহ অন্যান্য চিকিৎসক বৃন্দ, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট বৃন্দ সহ নার্সিং অফিসার, হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ২০১২ সাল দিবসটি পালিত হয়ে আসলেও বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু হয়।
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর জার্মান বিজ্ঞানী উইলিয়াম কনরাড রন্টজেন চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয়ের অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ এক্স-রে আবিষ্কার করেন। এরপর থেকেই চিকিৎসার মূল ধারণা পাল্টে যায়। বৈপ্লবিক এ পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় অনুমাননির্ভর চিকিৎসার বদলে চিকিৎসা শুরু হয় সুনির্দিষ্ট উপায়ে।
জানা যায়, এ দিন ক্যাথোড রশ্মি নিয়ে গবেষণার সময় সৌভাগ্যক্রমে এক্স-রে আবিষ্কার করেন রন্টজেন, রেডিওলজির চিকিৎসায় যা কার্যকর ভিত্তি গড়ে দেয়।
ডা. উবায়দুল ইসলাম বাপ্পী বলেন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির পর্বশর্ত হলো সঠিক রোগ নির্ণয়। আর এর সূচনা হয় এক্স-রে’র আবিষ্কারের মাধ্যমে। এই এক্স-রে পরীক্ষাকে আবর্তন করে ষাটের দশকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সত্তরের দশকে সিটি স্ক্যান এবং আশির দশকে এমআরআই সংযোজনের সুবাদে চিকিৎসা হয়ে পড়ে পুরোপুরি রেডিওলজি নির্ভর।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সুচিকিৎসার জন্য রেডিওলজির গুরুত্ব অপরিসীম।