সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২৬ কার্তিক ১৪৩২
সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জে কুমির দেখতে হাজার মানুষের ভিড়
ধামরাই (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৪ PM আপডেট: ০৮.১১.২০২৫ ২:০৮ PM

মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় হাটিপাড়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা এলাকায় ইছামতি নদীর শাখা খাল থেকে একটি কুমির ধরেছেন এলাকাবাসী। এর আগে ওই শাখা নদীতে স্থানীয়রা কুমির দেখতে পান। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। অবশেষে সেই কুমিরকে ফাঁদ পেতে ধরা হয়েছে।


‎শুক্রবার রাত ৯টায় দড়ি ও কাপড় দিয়ে চৌকিঘাটা এলাকা থেকে এই কুমিরকে ধরা হয়। ‎জানা গেছে, গত সাত দিন যাবৎ কুমিরটিকে ওই খালে বিচরণ করতে দেখা যায়। সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায়, সমস্ত গ্রামবাসী দড়ি দিয়ে ফাঁদ পেতে এই কুমিরটিকে ধরে।

খালটির আশপাশে জনবসতি থাকায় এলাকার মানুষজন কুমির দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তবে এলাকাবাসীর ধারণা এইখানে আরও কুমির রয়েছে‌। ‎এর আগে, ধুলশুড়া ও হারুকান্দি ইউনিয়নের পদ্মা শাখা নদীতে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী কুমির দেখতে পেয়েছেন। তবে ঠিক সেই কুমিরটি এটি কিনা তা নিশ্চিত নয়।

‎হাটিপাড়া এলাকার সাইদুল বলেন, কয়েকদিন যাবৎ এলাকার মানুষ বলাবলি করছিল কুমির নিয়ে। এমনকি কয়েকটি ভিডিও ধারণ করেছিল এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ‎এর আগে আশপাশের অনেক জায়গায় কুমির দেখা গেলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসেছিল। তারা বলেছিল পানি শুকাইলে আসবে।


‎চৌকিঘাটা গ্ৰামের মুন্নু বলেন, আজকে যে কুমিরটিকে ধরা হয়েছে তা এর আগেও দেখা গেছে। আশপাশে বাড়িঘর থাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার কারণে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বিশেষ কায়দায় কুমিরটিকে ধরা হয়েছে। কুমিরটি ধরে নিরাপদ স্থানে রেখে বন বিভাগকে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা আসলেই এটিকে তাদের কাছে দেওয়া হবে।


‎হাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কুমিরটি এলাকার রাহাত নামে একজনের বাড়িতে আছে। গতকাল রাত থেকেই কুমির দেখতে স্থানীয়রা রাহাতের বাড়িতে ভিড় করছে। আজকে সকালেও অনেক লোকজনের ভিড় ছিল। কিছুক্ষণ আগে ঢাকা থেকে বন বিভাগের লোকজন এসে কুমিড়টিকে নিয়ে গেছে।


‎হরিরামপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে হাটিপাড়া এলাকার স্থানীয়রা একটি কুমির ধরেছে। বিষয়টি জানার পরে আমরা ঢাকার টিমকে খবর দেই। পরে ঢাকার টিম এসে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি নিয়ে গেছে।


তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ বন বিভাগ কুমিরটি বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তারা এটিকে প্রথমে খুলনায় নিয়ে যাবে এবং সেখানে প্রাথমকিভাবে এই কুমিরের চিকিৎসা করা হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে এটি মিঠা পানির নাকি লোনা পানির কুমির। তারপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত