বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম শিকড় “কিচ্ছাপালা”কে কেন্দ্র করে হচ্ছে এইপ্রথম বারের মতো বৃহত্তর আয়োজন—কিচ্ছা উৎসব।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সর্বস্বর সংগঠনের উদ্যোগে উৎসবটির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত অতিথিরা ফুল ছিটিয়ে ও গান গেয়ে উৎসবের সূচনা করেন।
দিনব্যাপী ও সারারাত চলবে কিচ্ছা পরিবেশনা। অংশ নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খ্যাতিমান ও স্থানীয় বয়াতীরা—কুদ্দুস বয়াতী, সায়িক সিদ্দিকী, দিলু বয়াতী, আশিক বয়াতী, অলিউল্লাহ বয়াতী, সবুজ বয়াতী, জসিম বয়াতী, মনসুর বয়াতী, হামিদ বয়াতী, শামীম বয়াতী, মজনু বয়াতী, উসমান বয়াতী, আনোয়ারা বয়াতী, ফজল করিম বয়াতী ও খোকন বয়াতী।
উৎসবকে ঘিরে ঢাকা থেকেও বেশ কিছু গুণী শিল্পী কেন্দুয়ায় এসেছেন, রাতের পর্বে তাঁদের পরিবেশনা উপস্থাপিত হবে।
আয়োজনের সহযোগী সংগঠন হিসেবে রয়েছে চর্চা সাহিত্য আড্ডা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ঝংকার শিল্পীগোষ্ঠী, আব্দুল মজিদ তালুকদার শিল্পীগোষ্ঠী, মঙ্গলঘর পরিসর, প্রাণে প্রাণ বইকুজ ও জাসাস।
মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে কেন্দুয়া প্রেসক্লাব, কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাব ও কেন্দুয়া উপজেলা মিডিয়া ক্লাব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাঈম-উল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিহির রঞ্জন দেব, সর্বস্বরের সম্পাদক আবুল কালাম আল আজাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মাসকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম স্বপন, নাট্যকার রাখাল বিশ্বাস, গীতিকবি মীর্জা রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্থানীয় সংস্কৃতির ধারক-বাহক কিচ্ছাপালা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত ও প্রেরণার উৎস হয়ে উঠুক, এমন প্রত্যাশা থেকেই এই আয়োজন বলে জানান তারা।