হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) তে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন। রৌদ্রোজ্জ্বল শনিবার দুপুরে হাজারো গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, অতিথি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাস উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
দুপুরে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবর্তন প্যান্ডেলে পৌঁছায়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও ধর্মগ্রন্থ পাঠ শেষে তিনি সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার এবং সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা। পরে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয় এবং শ্রেষ্ঠ গ্র্যাজুয়েটদের হাতে “চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক” ও “ভাইস-চ্যান্সেলর পদক” তুলে দেওয়া হয়।
বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আবরার ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, দেশ আজ নতুন সূচনার পথে। দীর্ঘ দেড় দশকের দমন-পীড়নের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি মুক্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরেছি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান অভিভাবকদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, এই ডিগ্রি কোনো সমাপ্তি রেখা নয়; এটি একটি প্রবেশদ্বারমাত্র।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এনামউল্যা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কান্ডারি হবেন আমাদের প্রিয় গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ।
তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল নির্মাণের জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে স্মৃতিচারণ, ছবি তোলা ও আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন। সমাবর্তন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল এক অনন্য উচ্ছ্বাস ও আবেগঘন পরিবেশ।