গাজীপুর ২ আসনের নৌকার মাঝি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পাড়লে আমি এমপি হতাম না।
সততাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। এমন কোন কাজ করিনাই যে বাবা কবরে বসে আজব ভোগ করবে। যে বয়সে আমি এমপি হয়েছি সে বয়সে লোভ সামলানো দুরূহ বিষয়। কিন্তু আমি নিজেকে বিকিয়ে দেইনি। কারও আমানতকে খেয়ানত করিনি, কারো জমি দখলও করিনি।
কিন্তু বিরোধী কিছু মানুষ, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটনা করে, কটাক্ষ করে তারাই আজ নৌকার বিরোধীতা করছে।
বিএনপির হাসান সরকার, সালাহ উদ্দিন সরকার, এম এ মান্নান এর সাথে নির্বাচন করেছি তারাও এমন অশোভন ভাষা ব্যবহার করেনি। কিন্তু আওয়ামী নামধারী কিছু মানুষ কুৎসা রটনা করছে।
সেই সাবেক মেয়র যাকে সমর্থন করছে, সে মানুষের ভুমি দখল করে, মদের বারের লাইসেন্স আনে। জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করবে, কিন্তু কয়েকগুন বেশি বাড়িয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স তৈরী করছে।
আমি দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় ছিলাম, ব্যস্ত থাকতে হয়েছে অনেক সময়। অনিচ্ছকৃতভাবে কারও মনে আঘাত দিয়ে থাকলে আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনাদের কাছে দোয়া চাচ্ছি আমাকে সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। নৌকার স্বার্থে কেউ যদি আমাদের দিকে এসে সমর্থন করে তাদের বাঁধা দিবেন না। যারাই আসুক তাদের সুযোগ করে দিবেন।
এসময় নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে আপনারা ভোটার স্লিপ পৌঁছে দেবেন। নৌকার জন্য ভোট চাইবেন।
টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোশিউর রহমান সরকার বাবু প্রমূখ।
পরে সভা শেষে নৌকার সমর্থনে গনমিছিলের আয়োজন করেন জাহিদ আহসান রাসেল। মিছিলটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক কলেজগেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে টঙ্গী বাজারে গিয়ে শেষ হয়।