বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন গোলাম নাফিজ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বন্ধুদের সঙ্গে শাহবাগে যাওয়ার সময় গত ৪ আগস্ট ফার্মগেটে নিহত হয় সে। রিকশায় পড়ে থাকতে দেখা যায় নাফিজের নিথর দেহ।
নাফিজ হত্যায় গত ২৫ আগস্ট ঢাকার আদালতে মামলা করেন রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু এজাহারে উল্লেখ করা বাদীকে তেজতুরি বাজারের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি, ফোনও বন্ধ। তবে সন্ধান করে পাওয়া যায় নাফিজের বাবা গোলাম রহমানকে।
তিনি জানান, রফিকুল ইসলামকে চেনেন না তিনি। রফিকুল তাঁদের আত্মীয়ও নন। এমন কি মামলায় হত্যার তারিখও ভুল উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব কারণে গণঅভ্যুত্থানের পর হওয়া অনেক মামলা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ঢালাও মামলা হওয়ায় পার পেয়ে যেতে পারেন প্রকৃত আসামিরা।
নাফিজের বাবা গোলাম রহমান বলেন, ‘আমি জানি না। বাদীকে চিনিও না। আমাকে থানা থেকে ফোন দিয়ে বলেছে, আপনি কি মামলা করছেন, আমি বলছি না। আমারে থানা থেকে জানায় আদালতে মামলা হয়েছে। তখন আমি বলেছি, আমি জানি না।’
ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, ‘মামলায় এমন লোকের নাম যদি দিয়ে দেওয়া হয়, আর বাদী যদি আদালতে গিয়ে বলে আমি তাঁকে চিনি না। সেক্ষেত্রে এসব মামলা সহজেই দুর্বল হয়ে যায়।’
তবে পুলিশ বলছে, মামলা মানেই গ্রেপ্তার নয়। প্রতিটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর হওয়া অনেক মামলার বাদীকেই এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক মামলার বাদী না জেনেই আসামি করেছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের। আইনজীবীরা বলছেন, ঢালাও মামলা করায় অনেকগুলো দুর্বল হয়ে যাবে।