অটো চালকের নাম গোলাপ তার বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল জুম্মাপাড়ায় এলাকায়, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক রাত আটটার দিকে চিকলী বাজার থেকে ৪ জন ছিনতাইকারী যুবক যাত্রীর (ছদ্মবেশী) ভাড়ায় পাগলাপীর যাওয়ার কথা বলে অটো চালক গোলাপের সাথে তাতে অসম্মতি জানায়।
পরে তারা তারাগঞ্জের নামিয়ে দেয়ার কথা বললে অটোচালক রাজি হয় এবং তারাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।তারাগঞ্জ ফায়ারসার্ভিস- খিয়ার জুম্মা ব্রিজের মাঝ পথে পৌঁছাতে একটি পিকাপ ভ্যান দিয়ে অটোরিকশার গতিরোধ করা হয়। ৪জন ছিনতাইকারী যাত্রীর ছদ্মবেশী পিকাআপে থাকা ৪ জন করে দুইটি গ্রুপে ৮ জন বিভক্ত হয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়।
অটোরিকশা গতিরোধ করে অটোচালককে মার ধর করে অটোরিকশাটি পিকাপ ভ্যানে উঠানোর চেষ্টা করে, কিন্তু অটোচালক সাহসীকতার সাথে ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি করে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ছিনতাই কারিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় উপুর্যুপরি আঘাত করতে থাকে এমতাবস্থায় চালকের চিৎকারে আরো কিছু অটোরিকশাচালক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা রেখে পিকাপ ভ্যান নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ফায়ারসার্ভিস কর্মিরা আহত অবস্থায় অটোরিকশা চালক গোলাপকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে এডমিট করায় এবং সেখান থেকে তাকে রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অটোরিকশা চালকের মাথায় ৪/৫ জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে অটোরিকশা চালক গোলাপের পরিবার।