নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ঘুমন্ত ছোটভাই আওকত হোসেন (১৭)র গলা কেটে হত্যা করেছে বড়ভাই মেহেদী হাসান। হত্যার পর বিষপান করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বড়ভাই।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে রাতে কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আওকত হোসেন ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বছর খানেক ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন মেহেদী। নিচ্ছিলেন চিকিৎসাও। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফেরার পর মেহেদী ও তার স্ত্রী আলাদা থাকতেন। মায়ের অনুরোধে ছোটভাই ঘুমাতেন তার অসুস্থ বড়ভাইয়ের সাথে। ভোরের দিকে বড়ভাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে গলাকেটে হত্যা করে। এসময় তার মাথায়ও কুপিয়ে জখম করে সে। পরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেহেদী নিজেও। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য খগেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যান। আর গুরুতর আহত বড়ভাইকে গ্রেফতার দেখিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।