আক্কেলপুর থানার এক কনস্টেবল সাদা পোশাকে এক ব্যক্তির বাড়িতে যান। বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, ঘুষ নেওয়ার জন্য তিনি এসেছিলেন।
সেই কনস্টেবলকে আটকে রেখে তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ওই কনস্টেবলকে ছাড়িয়ে নেয়, আর ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও জোরপূর্বক মুছে দেয়।
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর পৌরশহরের শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার মৃত সেকেন্দার আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ওই কনস্টেবলের নাম আশিক হোসেন। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকে আটকে রাখেন শ্রীকৃষ্টপুর মহল্লার বাসিন্দা সোহেল রানা ও স্থানীয় লোকজন।
ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, আমি দুই মাস আগে মাদক সেবন ছেড়ে দিয়েছি। জমিজমা নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহ খানিক আগে একজন এসআইয়ের সঙ্গে কনস্টেবল আশিক হোসেন আমাদের গ্রামে এসেছিলেন। তখন কনস্টেবল আশিক আমার কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। আমি তাকে কোনো টাকা দেইনি। এতে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার দুই দিন পর রাতের বেলায় আমাকে সড়কে একা পেয়ে কনস্টেবল আমার পকেটে ১০ পিস ইয়াবা ঢুকে দিয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি পরদিন সকালে তাকে টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করে ছাড়া পেয়েছি। এরপর কনস্টেবল আমার বাড়ি এসে আমাকে না পেয়ে দরজায় লাথি মেরে ও গালিগালাজ করে চলে যান।
শনিবার সকালে কনস্টেবল আশিক আবারও আমার বাড়িতে এসে ঘুষের টাকা দাবি করেন। তখন তার হাতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। আমার স্ত্রী আড়াল থেকে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও করেন। এরপর ঘটনাটি থানার ওসিকে জানাতে চাইলে ঘুষের টাকা রেখে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। তখন তাকে বাড়িতে আটকে রেখে ৯৯৯ কল করি। থানা-পুলিশ এসে ঘটনা শুনে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও মুছে ফেলে কনস্টেবলকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত কনস্টেবল আশিক হোসেন বলেন, সোহেল রানা একজন মাদক কারবারি। তাকে চিহ্নিত করতে সকালে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।