মঙ্গলবার স্পেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফি'লিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দেশটির মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। স্প্যানিশ সরকারে মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়টিকে ই'সরায়েলের জন্য ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ২২ মে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সান্তেজ এবং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস ফি'লিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ই'সরায়েল। তারা ওই সময় তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের তাৎক্ষণিকভাবে তলব করে।
স্প্যানিশ সরকারে মুখপাত্র পিলার আলেগ্রিয়া বলেন, মন্ত্রিসভা ফি'লিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যার উদ্দেশ্য হলো- ই'সরায়েলি ও ফি'লিস্তিনিদের শান্তি অর্জনে সহায়তা করা।
রাষ্ট্র হিসেবে ফি'লিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের জন্য একটি ‘প্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ বলে মনে করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা সবাই শান্তি অর্জন করতে চাই। তবে ফি'লিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি একটি অপরিহার্য প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, পূর্ব জে'রুসালেম হবে এই রাষ্ট্রের রাজধানী।
সংবাদ সম্মেলনে ফি'লিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গার স্তুরে বলেন, যু'দ্ধে হাজার হাজার মানুষ যখন হতাহত হচ্ছে, তখন আমাদের অবশ্যই এমন একটি বিষয়কে টিকিয়ে রাখতে হবে, যা ই'সরায়েলি ও ফি'লিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ ভূমি নিশ্চিত করতে পারবে। তা হলো দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। যেন তারা একে অপরের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে পারে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিভিন্ন সময়ে নরডিক দেশটিকে ই'সরায়েল ও ফি'লিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিতে দেখা গেছে। এ ঘোষণার আগে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৩টির মতো দেশ ফি'লিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফি'লিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে আসছিল। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ ই'সরায়েলের পাশে আলাদা স্বাধীন ফি'লিস্তিন থাকবে।