বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।
পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তাঘাট বেহালদশা। ড্রেনেজ (নালা) ও পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা না থাকায় পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টিতেই ১ নং ওয়ার্ড সুন্দরদী মহল্লার বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে এবং ঘরের মধ্যে হাঁটুসমান পানি ওঠে। জলাবদ্ধতার কারণে বছরের অধিকাংশ সময় ভোগান্তি পোহাতে হয় মহল্লার বাসিন্দাদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসি।
১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গৌরনদী পৌরসভাটি ২০০৩ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। নামেই গৌরনদী পৌরসভা। পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা।
পৌরসভার অভ্যান্তরিন রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থা। এ ছাড়া ড্রেনেজ (নালা) ও পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা না থাকায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সুন্দরদী মহল্লার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় জনসাধারনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের টরকী বাসষ্ট্যান্ট সংলগ্ন তহসিল অফিস জামে মসজিদের পাশ দিয়ে হরগোবিন্দ সাধু আশ্রামের সড়ক ও পাশর্বর্তী এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের মধ্যে হাঁটুসমান পানি ওঠে। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় অধিকাংশ মহল্লার বাসিন্দাদের।
সুন্দরদী বাসিন্দা আব্দুস ছালাম হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত কত সরকার গেলো, কত সরকার আসলো, কিন্তু আমাদের মহল্লার কোন উন্নয়ন হয়নি। গত ১৫ বছরের পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমানের কাছে আমরা একাধিকবার পানিবন্ধির দুরবস্থার কথা জানিয়েছি। একবারের জন্য তিনি আমাদের দেখতে আসেনি।”
বাসিন্দা সুভাষ মালী বলেন, ‘মোরা পৌর সদরে থাইক্যাও মনে হয় বিলে থাহি, একটু বৃষ্টি অইলেই সেন্ডেল হাতে লইয়া হাঁটু পানিতে যাতায়াত করতে হয়। কত দৌড়াইলাম গেলো ২০ বছরেও কোন শুরাহ পাইলাম না। মোরা দক্ষিণাঞ্চেলের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ী বন্দরের প্রাণকেন্দ্রে বসবাস কইরাও বছরের ৯ মাসেই জলাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হইলেই ঘরের মধ্যে হাটুপানি জমে।
অপর বাসিন্দা পলাশ দাস বলেন, পৌরসভার সিংহভাগ রাজস্ব টরকী বন্দর থেকে আয় করা হলেও গত ৩০ বছরে এ বন্দরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি।
১নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর সিকদার খোকন জনসাধারনের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্ডের সমস্যার কথা বহু বার মাসিক সভায় উপস্থাপনা করেছি। বর্তমান পৌর প্রশাসকের কাছে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।