শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫ ২১ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫
৪ মাস ধরে শিকল বন্দী জীবনের গল্প শোনাচ্ছে সংবাদকর্মীদের
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:০৬ PM
শিকল পড়ে প্রায় ৪ মাস ধরে বন্দী অবস্থায় সিংড়া উপজেলা সদরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দিনমজুর আ: খালেক। বাসায় আর মন বসে না। কাজ কর্ম করে বাকি জীবন কাটাতে চান। 

আর বন্দী থাকতে চায় না সে কিন্তু পায়ে বেড়ি, হাতে বেড়ি এই শিকল থেকে নিজের মুক্ত হওয়া অনিশ্চিত। তাই মুখ ফুটে বলছেন আর বন্দী থাকতে চাননা। 

সমাজের বন্দী জীবন থেকে মুক্ত হয়ে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়বেন অজানার উদ্দেশ্য। যেখানে প্রভাবশালী কেউ আটকাবে না। তিনবেলা খেয়ে বাঁচতে চান আ: খালেক। 

দরিদ্র আফসার আলীর পুত্র আ: খালেক নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাড়িতে বাবা আর মা।  এক ভাই ছিলো সে বিদেশে কর্মে চলে গেছেন।  

স্থানীয় সুত্র জানায়, চৌগ্রাম ইউনিয়নের সারদানগরে বিয়ে হয়। কিছুদিন শশুরবাড়ি এলাকায় থাকার পর পারিবারিক ঝামেলায় স্ত্রী ডিভোর্স দিলে গ্রামে চলে আসেন খালেক। গ্রামে চলে আসার পর ভাইয়ের সাথে কথা-কাটাকাটি প্রায় লাগতো। 

উত্তেজিত হতো, গালিগালাজ করতো একারনে ভাই ও চলে যায়। মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙ্গে পড়ে আ: খালেক। 

কাউকে যাতে মারপিট না করে এসব কারনে গ্রামের রুবেল ও ইউনুসের সহায়তায় তাকে বেড়ি পড়ানো হয়। তার পর থেকে সে শিকলে বন্দী। 

শনিবার সিংড়া থানা মোড়ে শিকল পড়া অবস্থায় দেখেন মানবাধিকার কর্মী হামিদুল্লাহ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি  ও মানবাধিকার কর্মী রাজু আহমেদ ও সাংবাদিক রবিন খান। তারা এবিষয়ে তার সাথে কথা বলেন। 

ইউপি সদস্য ওসমান আলী বলেন, আ: খালেক আগে থেকে প্রতিবাদী চরিত্রে। কিছু হলে অন্যকে মারপিটে উদ্যত হয়। পরে শুনি তাকে শিকল পড়ানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে সিংড়া থানার ওসি তদন্ত আকবর আলী জানান, ভুক্তভোগী ব্যক্তি স্বাভাবিক থাকলে সে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। আমরা আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত