বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট ১টি ট্রলারসহ ১১ জেলেকে হস্তান্তর করে। কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ১টি নৌকা ও মৃত ব্যক্তির লাশসহ ১১ জন জেলে নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে শাহপরীরদ্বীপ জেটিতে অবতরণ করে কোস্টগার্ড।
নিহত ব্যক্তির নাম ওসমান গনি। তিনি টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ কোনাপাড়ার বাসিন্দা বাঁচা মিয়ার ছেলে। এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী।
অপহরণ করা ৬টি ট্রলারের মালিকরা হলেন শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতাউল্লাহ এবং উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। ট্রলারগুলোয় ৬০ জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকেল আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী গুলি করে এবং ৬টি ট্রলার ও ৬০ জন জেলেকে আটক করে। গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং দুজন আহত হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নিকট ১টি নৌকাসহ জেলেদের হস্তান্তর করে।
বর্তমানে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ১টি নৌকাসহ মৃত ব্যক্তির মরদেহ ও ১১ জন জেলে নিয়ে কিছুক্ষণ আগে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে অবতরণ করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যান্য ৫টি বোটসহ অন্য জেলেদের ছাড়েনি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি করে। এতে তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে একজন মারা যান। এরপর ৫টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে আজ তার ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এখনো ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।