সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ‘অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পর নাহিদ রাব্বি নামের এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেনীর পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ইফতেখার হাসান ভুঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর আসামি হলেন আব্দুল কাদের।
অভিযুক্ত নাহিদ রাব্বি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরশুরাম উপজেলা সমন্বয়ক এবং তিনি পরশুরাম পৌর এলাকার কোলাপাড়া গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে। অপর আসামি আব্দুল কাদের অনন্তপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
অডিও ফাঁস হওয়ার পর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ফেনী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে শুক্রবার (২০ জুন) বিভিন্ন পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১৫টি পদের জন্য প্রায় ১২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে প্রতিটি পদের জন্য গড়ে ১০৮ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ডা. ইফতেখার হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ দেখতে পান। অডিওতে নাহিদ রাব্বি চাকরিপ্রার্থী আব্দুল কাদেরের কাছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার প্রধান সাক্ষী হিসেবে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দুর্নীতিগ্রস্ত কাজের জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং কোনও অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা মনে করেন, এমন অভিযোগ শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নষ্ট করে না, বরং সাধারণ মানুষের আস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।