পাকিস্তান কেন আনপ্রেডিক্টেবল, তা বোঝা গেল আরও একবার। ১২০ রানের ক্ষুদ্র টার্গেটে এসেও পাকিস্তানকে থামতে হয়েছে ১১৪ রানে এসে। ৬ রানের এই অবিশ্বাস্য হারে পাকিস্তানের বিদায়টাও প্রায় অনিবার্য হয়ে পড়েছে এবারের বিশ্বকাপ থেকে। হার্দিক পান্ডিয়া-জাসপ্রিত বুমরাহরা ভারতকে এনে দিয়েছেন মনে রাখার মতো এক জয়। এটি ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহ করেছেন স্মরণীয় এক ডেথ ওভার। জয়ের ক্ষণিক আশাও পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে সেখানেই।
১৯তম ওভারে এসেছে মোটে ৩ রান। শেষ ওভারে বাকি ১৮ রান তোলা হয়নি গ্যারি কার্স্টেন শিষ্যদের। আর্শদ্বীপ সিংয়ের ওভারের প্রথম বলে আউট হলেন ইমাদ ওয়াসিম। পরের ৫ বলে তারা নিয়েছে ১০ রান। এই নিয়ে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ম ম্যাচের মধ্যে ৭ম পরাজয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান।
বোলিংয়ে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির-নাসিম শাহরা। ভারতের ব্যাটিং প্রসিদ্ধ লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন মাত্র ১১৯ রানে।
নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে এই রানটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠে পাকিস্তানের। শেষ পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাবর আজমের দল।
এতে কাগজে কলমে বাদ না হলেও অলিখিতভাবে এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত পাকিস্তানের। কারণ টানা দুই ম্যাচ জিতে ভারতের সঙ্গে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার (৯ জুন) ‘এ’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে মাত্র ১২০ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। এতে ৬ রানের জয় পায় ভারত।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনে খেলতে থাকে দুই পাক ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর। ১০ বলে ১৩ রান করে বুমরাহ বলে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এরপর ওসমান খান ১৫ বলে ১৩ রান এবং ৮ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন রিজওয়ান।
১৫তম ওভারে বুমরাহ দ্বিতীয় শিকার হন রিজওয়ান। ৪৪ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার আউট হলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ৭ বলে ৪ রান করে শাদাব খান আউট হলে পাকিস্তানকে চেপে ধরে ভারত।
১৯তম ওভারেরে শেষ বলে ইফতেখার আহমেদ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। শেষ ৬ বলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮ রান।
কিন্তু শেষ ওভারে ২৩ বলে ১৫ রান করা ইমাদ আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। এতে ৬ রানের জয় পায় ভারত।