খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ তিন দিনব্যাপী ৭ম “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিইএসডি ২০২৪)” শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইসেস এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ, মিনার্ড, পোলস এন্ড কনক্রিট লিমিটেড, এজেড ড্রেজিং লিমিটেড, শামসুন ইন্টারন্যাশনাল, কেএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, হোালসিম, ম্যাক্সক্রিট ও স্পেকট্রা এর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ০৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কনফারেন্সটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর ড. এম. আজাদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এলজিইডি এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আখতার হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের চেয়ার প্রফেসর ড. মোঃ রোকনুজ্জামান।
সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন, টেকসই উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এজন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ‘আইসিসিইএসডি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বক্তারা আরো বলেন, কনফারেন্সের মাধ্যমে উঠে আসা প্রযুক্তি ও বিষয়সমূহ কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব উপকৃত হবে, তাই এধরনের কনফারেন্সের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কী-নোট সেশনে স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি এর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আখতার হোসেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. রাকিব আহসান।
সম্মেলনে মোট ৬টি কী-নোট সেশন এবং ৫০টি টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশের গবেষকদের মোট ৪৪৮টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপিত হবে এবং সেরা ১২টি পেপারকে পুরস্কৃত করা হবে। সম্মেলনে প্রায় ছয়শত প্রতিথযশা গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদগণসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে কুয়েটে ২০১২ সালে প্রথম, ২০১৪ সালে দ্বিতীয়, ২০১৬ সালে তৃতীয়, ২০১৮ সালে চতুর্থ, ২০২০ সালে পঞ্চম এবং ২০২২ সালে ষষ্ঠ বারের মত ‘আইসিসিইএসডি’ অনুষ্ঠিত হয়।