পিরোজপুররের কাউখালীতে ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব আমরাজুড়ী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মনির হোসেন। ৪৬ বছর বয়সী মনির পেশায় অটোরিক্সা চালক। তিন দীর্ঘ দিন ধরে যক্ষা ও লাঞ্চে পানি জমা রোগে অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী।
তার তিনটি সন্তান স্ত্রী ও বিধবা মাকে নিয়ে কোন রকমের জীবন যাপন করে আসছে। ৬ শতাংশ ভিটে মাটিতে অনেক দিন যাবৎ একটি ছুপড়ী ঘরের মধ্যে মাথা গোজার ঠাঁই হলেও সেই ঘরটিতে টিনের চালে মরিচা পরে নষ্ট হয়ে গেছে এবং চার পাশের বাঁশ-কাঠের বেড়াগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে পরে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় অসুস্থ মনিরের বিছানা ও ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র তার সাথে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের বইপত্র। অনেক সময়ে বৃষ্টির কারণে পলিথিনের কাগজ পেচিয়ে থাকতে হয় তাদের পরিবারের সকলকে। এভাবেই চলছে মনির ও তার পরিবারের জীবন।
এদিকে অসুস্থ মনির শারীরিক সমস্যার কারণে আগের মতো কোন কাজ কর্ম না করতে পারায় ঘর মেরামত তো দূরের কথা পরিবারের মুখে তিনবেলা খাবারও তুলে দিতে পারছে না। মনিরের জীবনযাপন দেখে আসমানী ককিতার কথা মনে পড়ে যায়। কবিতার লাইনের সাথে মিল করে যদি বলা হয় `আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও মনিরের ছোট্ট বাড়ি আমরাজুড়ী যাও তবে ভুল হবে না।
আশ্রায়ন প্রকল্পে শত শত ঘর নির্মান করা হলেও মনিরের ভাগ্যে জোটেনি একটি সরকারি ঘর। তাই একটি সরকারি ঘর পেতে আকুতি জানিয়েছে অসহায় মনির ও তার পরিবার।
আমড়াজুড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, আগে সরকার যার জমি আছে ঘর নেই তাদেরকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিতেন। এখন সরকার আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় আনার কারণে মনির ও তার পরিবারকে সাহায্য করা সম্ভব হয় নাই।
আমরাজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি। বর্তমানে সরকার আশ্রায়ন প্রকল্প চালু করায় যার জমি আছে ঘর নেই এ প্রকল্প আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে পাই নাই। চেষ্টা করবো দেখব সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা থাকলে মনিরকে সহযোগিতা করবো।