নীলফামারীর ডোমারে আদদীন এনজিও কর্মীর ভ্যানিডি ব্যাগ হতে ২২হাজার টাকা কেরে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই এনজিওর সদস্য রেজোয়ানা আক্তার আনো ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ফার্মহাট এলাকায়। সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় সকালে আদদীন এনজিও কর্মী হালিমা আক্তার ঋনের কিস্তি আদায় করতে আসে রেজোয়ানা আনোর বাড়ীর কেন্দ্রে। কিস্তি আদায়ের সময় কৌশলে তাদের শয়ন ঘরে ঢেকে নিয়ে ভ্যানেটি ব্যাগ হতে জোর করে টাকা কেরে নেওয়ার ঘটনাটি ঘটায়।
এনজিও কর্মী হালিমা আক্তার জানান, দুপুরে ফার্মহাট এলাকায় রেজোয়ানা আনো নামের এক সদস্যের বাড়ীতে সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা আদায় করতে যাই। সেখানে আনো তার নিজ বাড়ীর আঙ্গিনা হতে কৌশলে তাদের ঘরে আমাকে নিয়ে যায়। সেখানেই আনো ও তার স্বামী মিলে আমার আদায় কৃত টাকা ব্যাগ হতে বের করে নেয়।
আমি সে দৃশ্য ভিডিও করলে তারা আমার মোবাইল কেরে নিয়ে ভিডিওগুলো ডিলিট করে দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী ও আমার সংস্থার উপজেলা ব্যবস্থাপকের সাথে আলোচনা করে দশ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়।
এবিষয়ে সাদ্দাম হোসেনের সাথে কথা হলে বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আদদীন এনজিওর ব্যবস্থাপক ওসমান গনী জানান, আমাদের কর্মীর ব্যাগ হতে ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিলো। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বসে ১০হাজার টাকা ফেরত দেয় সাদ্দাম হোসেন। আমার এনজিওর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমঝোতা করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী মোবাইল ফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।