উদ্বুত পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়া ময়মনসিংহের পুলিশ অবশেষে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে। সোমবার সকাল থেকে জেলার ১৪টি থানায় শুরু হয়েছে পুলিশের কার্যক্রম।
মান-অভিমান ভূলে এক সপ্তাহ পর কর্মে ফেরায় পুলিশকে ফুলদিয়ে বরণ করে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর ১১ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে যান ময়মনসিংহের পুলিশ। এরপর থেকে সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মাঠেন নামেন শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যরা।
পুলিশের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা পালন করায় তারা ভাসেন প্রশংসায়ও। তবে পুলিশের কর্মবিরতিতে সকল ধরণের কাজকর্ম থমকে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সেবাপ্রার্থীরা। কর্মবিরতি প্রত্যাহার হওয়ায় তারাও স্বস্তি প্রকাশ করেন।
সোমবার সকালে নগরীর টাউন হল, নতুন বাজার মোড়, গাঙ্গিনারপাড় মোড়সহ প্রত্যেকটি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্বপালন করতে দেখা যায়। এসময় তাদের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও তাদের সহযোগিতা করেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা হারিস উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় পোশাকে কোন পুলিশ সদস্যকে পাওয়া যায়নি। আজকে তাদের দায়িত্বপালন করতে দেখেছি। যদিও এক সপ্তাহ ধরে পুলিশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা সুন্দর ভাবে দায়িত্বপালন করেছে যানজট নিয়ন্ত্রণে। তবে এখন আমরার দাবি হচ্ছে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুক, আর পুলিশ তাদের দায়িত্ব ঠিক মত পালন করুক।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক গোকূল চন্দ্র মানিক বলেন, পুলিশের অনুপস্থিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেছেন। আজকে পুলিশ কাজে ফেরায় তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশকে আমরা সকল ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে পুরোদমে জেলার ১৪টি থানার পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। এর আগে শনিবার রাতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য স্ব স্ব থানায় ফিরে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সঙ্গে পুলিশের কোন ধরণের মতবিরোধ হয়নি। যার কারণে ছাত্র-পুলিশের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই ভালো। আগামীর বাংলাদেশকে সুন্দর জায়গায় নিয়ে যেতে ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।