চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিগত সালের ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কারণে পুরো সড়কটি তিনমাস পানিবন্দি অবস্থায় ছিলো। ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অসুস্থ লোকজনকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে এই এলাকায় হাজার হাজার লোকজনকে।
শুষ্ক মৌসুমেও যানবাহন গুলো এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে চায় না, শুধু সড়কের বেহাল দশার কারণে। বর্ষা মৌসুমেতো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। ফলে বাধ্য হয়ে সড়কটি সংস্কার ও পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণ সংগঠক পারভেজ মোশারফ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্বাছ উদ্দিন গাজী, ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর আমির আব্দুল হান্নান, হারুন গাজীসহ লোকজন জানান, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা অলি পাঠান বড়ি সড়ক নামে পরিচিত সড়কটি আদশা-লতিফগঞ্জ সড়কের সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কের ১.২৫ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষাকালে সড়কটি পুরোপুরি যান চলাচল অনুপযোগি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে হাটাচলা করা গেলেও সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন গুলো চালাতে অনিহা দেখায় চালকরা। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা সড়কটি পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধনে নেমেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহন পাটওয়ারী মানিক বলেন, এই সড়ক আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির অন্তত ৪ শত পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ। অন্যদিকে সংযোগ সড়কটি হিসেবে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকজন, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সড়কটি ব্যবহার করছে। সড়কটি সংস্কার ও পাকা করলে আশপাশের দুই তিন গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। গত বর্ষায় তিন মাস পানির নিচে ছিলো সড়কটি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ বলেন, সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। আমি ইতিপূর্বে ৩ লাখ টাকা দিয়ে সড়কের কিছু অংশ সলিং করেছি। আবারো এডিবির বরাদ্দ থেকে ৪ লাখ টাকা দিয়ে আরো কিছু অংশ সলিং করা হবে। সড়কটির আইডি হয়েছে। এখন গেজেট প্রকাশ বাকী। আশাকরছি কর্তৃপক্ষ সড়কটির গুরুত্ব বুঝে পাকাকরণের কাজ করবেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নতুন প্রকল্প আসলে ডিপিপি ভুক্ত করণের প্রস্তাব প্রেরণ করবো।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কটি প্রসঙ্গে বলেন, সড়কটি সার্ভে করা হবে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।